অ-এর বিবৃত বা স্বাভাবিক উচ্চারণের ৫টি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
উত্তর : অ'
ধ্বনির উচ্চারণ অ-এর মতো হলে তাকে অ-এর বিবৃত বা স্বাভাবিক উচ্চারণ বলে। এতে চোয়াল বেশি ফাক হয়, ঠোট তেমন বাঁকা বা গোল হয় না। যেমন- অমর, কলম, কথা, সরল, দখল ইত্যাদি।
নিচে ‘অ' ধ্বনির বিবৃত বা স্বাভাবিক উচ্চারণের ৫টি নিয়ম উদাহরণসহ দেওয়া হলো :
ক.শব্দের দ্বিতীয় স্বর- “অ', ‘আ’, ‘ও’ হলে 'অ'-এর উচ্চারণ স্বাভাবিক। হয়। যেমন- অন্ন, অর্ধ, অক্ষর, কলম, অমল ইত্যাদি।
খ.
‘স' বা 'সম' উপসর্গযুক্ত আদি অ-ধ্বনি স্বাভাবিক হয়। যেমন সস্নেহ, সহাস্য, সজীব, সবল, সবিনয় ইত্যাদি।
গ.
‘না’ অর্থে 'অ' বা 'অন থাকলে অ-ধ্বনি স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়। যেমন-- অমূল্য, অমৃত, অস্থির, অনিয়ম, অনাগত ইত্যাদি। ,
ঘ.
‘অ' এর নিজস্ব উচ্চারণ স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়। যেমন- 'জল, সরল, দখল, কথা ইত্যাদি।
ঙ.“অ' স্বরধ্বনিযুক্ত একাক্ষর (Sylleble) শব্দের অ-এর উচ্চারণ স্বাভাবিক। যেমন— নদৃ, টব, শ, দম্, র ইত্যাদি।
No comments