ভাবসম্প্রসারণ ৩৪. শাসন করা তারই সাজে, সোহাগ করে যে।
৩৪. শাসন করা তারই সাজে, সোহাগ
করে যে।
সহানুভূতিহীন শাসন কখনোই ফলপ্রসূ হয় না।
তাই শাসনের সাথে স্নেহপূর্ণ মানবিকতা থাকা প্রয়োজন।
দোষ-ত্রুটি সংশোধন করা, ন্যায়
পথে চালিত করা এবং জীবনকে সার্বিকভাবে সুন্দর করার জন্যই শাসনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
তাই সেখানে কোন প্রতিশোধ প্রবণতা না থেকে যদি সহানুভূতির সম্পর্ক থাকে তবে সে শাসন তাৎপর্যময় হয়ে ওঠে।
শাসন করাটা যাতে সুফল বয়ে আনে সেদিকে তীক্ষ্ণদৃষ্টি রাখতে হবে।
শাসন দ্বারা যাকে সংশোধন করা হবে তার প্রতি স্বাভাবিক সহানুভূতি থাকা আবশ্যক।
মানুষের মঙ্গল করার ইচ্ছা থেকে এ সহানুভূতি জাগে।
ভারো করার ইচ্ছে থাকলে তার বিচারে কিছু আসে যায় না বা সেই বিচারের কোন অর্থ থাকে না।
সোহাগের মনোভাব থাকলে শাসনের মধ্যে কল্যাণধর্ম অবশ্যই ফুটে ওঠবে।
মোটকথা, শাসনের
পেছনে থাকবে সোহাগ এবং সোহাগের পেছনে থাকবে শাসন।
ভালবাসা-মিশ্রিত যে শাসন তার কার্যকারিতা এবং স্থায়িত্ব সমধিক।
তাই শাসনকারীকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে, শাসন
যেন কখনোই ভালোবাসাহীন এবং নির্মম না হয়।
তাই কাউকে শাসন করতে গেলে প্রথমেই লক্ষ্য করতে হবে যে শাসিতের প্রতি তার ভালোবাসার গভীরতা কতটুকু।
No comments