ভাবসম্প্রসারণ ২৮, মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন, বিলাস ধন নহে।
২৮, মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন, বিলাস ধন নহে।
ধন-সম্পদের প্রকৃত মূল্য বিলাসিতায় নয়, পরের কল্যাণ সাধনই প্রকৃত ধন। জীবনে অর্থ-বিত্তের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। জীবন ধারণের জন্য উপার্জনক্ষম প্রত্যেকেই অর্থ উপার্জনের জন্য ব্যস্ত। অনেকেই প্রচুর অর্থ উপার্জন করে কিন্তু খুব কমসংখ্যক লোকই অর্থের সদ্ব্যবহার করতে জানে। অর্থ উপার্জন করা যত না কঠিন, তার চেয়ে বেশি কঠিন অর্থের সদ্ব্যবহার করা। অর্থের সদ্ব্যবহারের ওপরই নির্ভর করে অর্থেপার্জনের সার্থকতা। যারা প্রচুর ধনসম্পদের অধিকারী তাদের অধিকাংশই বিলাস-ব্যসনে গা ভাসিয়ে দিয়ে আনন্দ-ফুর্তিতে মত্ত থাকে। ধীরে ধীরে তারা পাপের পথে অগ্রসর হয়। অহমিকা, গর্ব, দাভিকতা তাদের মনুষ্যত্বকে নষ্ট করে দিয়ে তাদেরকে পশুতে পরিণত করে। তাই অনেক সমপন ও টাকা-পয়সার মালিক হলেই তাকে ধনী বলা যায় না। যিনি পরোপকারী, মহৎ এবং উদার হৃদয়ের অধিকারী তিনিই প্রকৃত ধনী। তাই বিলাসবহুল জীবন পরিত্যাগ করে পরের উপকার ও সমাজের মালে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক ধনবানের উচিত। ধন উপার্জন করে তা নিজের ভোগ বিলাসে ব্যয় করলে আত্মা সংকুচিত হয়। পক্ষান্তরে মাল করার ইচ্ছা মনুষ্যত্বকে উজ্জীবিত করে। সুতরাং পরের হিতসাধনে যে-ধন ব্যয় হয় প্রকৃত অর্থে সেটাই ধন, বিলাসিতা ধন নয়।। প্রতিটি মানুষকে ধন-সম্পদের প্রকৃত ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ধন-সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত হয়।
No comments