ভাবসম্প্রসারণ ২৭. অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী
২৭. অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী
স্বল্প শিক্ষিত লোকের আত্মপ্রচার অকল্যাণকর। বিদ্যা অমূল্য সম্পদ। মানব কল্যাণে বিদ্যার দান অপরিসীম। বিদ্যা বা জ্ঞান সভ্যতার অগ্রযাত্রায় অপরিসীম অবদান রেখেছে। বিদ্যা মানুষের জীবনকে সুন্দর ও বিকশিত করে তা থেকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতি উপকৃত হয়। বিদ্বানের মর্যাদা সর্বত্র। কিন্তু অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর। 'A little learning
is a dangerous thing.' যারা অল্প শিক্ষিত এবং স্বল্প জ্ঞানের অধিকারী তারা নিজেদের অজ্ঞানতাকে ঢেকে রাখে। তারা যতটা জ্ঞানী নয় তার চেয়ে বেশি প্রচার করে বেড়ায়। প্রকৃত জ্ঞানী কখনোই আত্ম-প্রচারে ব্যস্ত হন না। জল ভরা কলস যেমন শূন্য কলসের মতো বাজে না, অনুপ বিদ্বান ব্যক্তিরা অল্প শিক্ষিত লোকের মতো আস্ফালন করেন না। প্রকৃত বিদ্যা সব সময়ই বিনয় দান করে। নিউটন একজন জগদ্বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক হওয়া সত্ত্বেও নিজের অর্জিত জ্ঞানের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘জ্ঞান-সমুদ্রের তীরে আমি নুড়ি কুড়াচ্ছি মাত্র।' অনেক জ্ঞানের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যা তাকে বিনয়ী করেছে। পক্ষান্তরে অল্প শিক্ষিত ব্যক্তিরা নিজেদেরকে সবজান্তার ভান করে নানাভাবে সমাজের ক্ষতিসাধন করে। একন হাতুড়ে ডাক্তারও নিজেকে অভি বলে প্রচার করতে দ্বিধা করে না। এতে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর প্রাণ বিপন্ন হয়। যে-কোনো বিষয়ে পরিপূর্ণ শিক্ষার্জন প্রয়োজন। মাঝামাঝি পর্যায়ের কোনো শিক্ষাই ফলপ্রসূ নয়।
No comments